কোপে বলে প্রভু,—“বেটা কি অর্থ বাখানে?
ভাগবত-অর্থ কোন জন্মেও না জানে॥
মহাভাগবতের ২৬টী সদ্গুণ আছে। কৃষ্ণৈকশরণতাই তন্মধ্যে নিত্যমুখ্য সদ্গুণ। এই সদ্গুণ ভগবানে ও ভক্তে প্রকাশিত আছে। তজ্জন্যই ভক্তিবিরোধি-বিচারে জীবের বাসনার প্রতিকূলে তৎপ্রতিকার-জন্য ‘ক্রোধ’ নামক বাসনাভেদকারি উপদেশ অর্বাচীনগণের নিকট ‘ক্রোধ’ শব্দ-বাচ্য হয়। অর্থ-যুক্ত জীব স্বীয় বাসনার পরিতৃপ্তির অভাবে যে বৃত্তি প্রদর্শন করে, তাহা নিতান্ত নিন্দ্য। কিন্তু ভগবৎসেবা-বিরোধি জনগণের মঙ্গলের জন্য ভগবদ্ভক্তগণের বাসনার প্রতিকূল ব্যাপারে যে বৃত্তি প্রকাশিত হয়, তাহাতে কোন দোষ থাকিতে পারে না, ইহা দেখাইবার জন্যই শ্রীগৌরসুন্দর ক্ৰোধলীলা প্রকাশিত করিলেন। যাহারা ‘পল্লবগ্রাহিতা’ নীতি অবলম্বন করিয়া বহু কলাভ্যাস করে, তাহারা শ্ৰীমদ্ভাগবতগ্রন্থকে বহু শাস্ত্রের অন্যতম জ্ঞানে কেবল ধর্মরহিত হইয়া শাস্ত্রান্তর জ্ঞান করে;সুতরাং ভাগবতের তাৎপর্য শ্রীভগবানের লীলা কোন অবস্থাতেই বুঝিতে পারে না। তাহাদের জন্ম-জন্মান্তরীন বাসনা ভাগবতের তাৎপর্য বুঝিতে দেয় না। তাহারা ভাগবত পাঠ করিয়াও কৃষ্ণেতর বাসনাক্রমে ভক্তিহীন দোষে দুষ্ট থাকে।