চৈতন্যবিদ্বেষী চতুর্থাশ্রমীরও সত্যবস্তু-দর্শনে অসামর্থ্য—
সন্ন্যাসীও যদি নাহি মানে’ গৌরচন্দ্র।
জানিহ সে দুষ্টগণ জন্ম জন্ম অন্ধ॥
বর্ণাশ্রমধর্মের পরম উন্নত শিখরে তুর্যাশ্রম অবস্থিত। তাদৃশ আশ্রমী সন্ন্যাসীও যদি গৌরবিদ্বেষী হন, তাহা হইলে জন্ম জন্ম তিনি অন্ধ হইয়া সত্য-বস্তু-দর্শনে অসমর্থ হন। গৌরবিদ্বেষী যতিগণ দুরাচার-পরায়ণ। কপট বাটপাড় দুষ্টগণ তপস্বীর বেষেই শ্রীগৌরসুন্দরের নিন্দা করিয়া থাকে। সুতরাং তাহাদের সাধুবেশের বহুমানন করিতে হইবে না। গৌরনিন্দক সন্ন্যাসী বাটপাড় দস্যু অপেক্ষাও ঘৃণ্য।