স্বীয় ভক্তের সর্ববিধ সেবনার্থই ভগবানের সর্বদা সর্বত্র
অবতার-গ্রহণ-
ভক্তদুঃখ প্রভু কভু সহিতে না পারে।
ভক্ত লাগি’ সর্বত্র কৃষ্ণের অবতারে॥৭৯॥
ভগবান্ তাঁহার সেবোন্মুখ শুদ্ধভক্তগণের দুঃখ কিছুতেই সহ্য করিতে পারেন না। যখন যে-স্থলে তঁহার নিজ-জনগণের দুঃখের কারণ উপস্থিত হয়, তখন সে-স্থানে তিনি অবতীর্ণ হইয়া স্বীয় ঐকান্তিক আশ্রিত-ভক্তের সর্ববিধ দুঃখ মোচন করেন॥
(আদিপুরাণ-বাক্য—) “জগতাং গুরবো ভক্তা ভক্তানাং গুরবো বয়ম্ ।সর্বত্র গুরবো ভক্তা বয়ঞ্চ গুরবো যথা। অস্মাকং বান্ধবা ভক্ত ভক্তানাং বান্ধবা বয়ম। অস্মাকং গুরবো ভক্ত্যা ভক্তানাং গুরবো বয়ম্। মদ্ভক্তা যত্র গচ্ছনতি তত্র গচ্ছামি পার্থিব। ** যে কেচিৎ প্রাণিনো ভক্তা মদর্থে ত্যক্তবান্ধবাঃ। তেষামহং পরিক্ৰীতো নান্যক্ৰীতো ধনঞ্জয়॥’’
(পাদ্মে শ্রীভগবদ্ব্রহ্ম সংবাদে—) “দর্শন-ধ্যান সংস্পর্শর্মৎস্যকূর্মবিহঙ্গমাঃ। পুষ্ণন্তি স্বান্যপত্যানি তথাহমপি পদ্মদে॥’’
(ভঃ রঃ সিঃ দঃ বিঃ ১লঃ ৮০ সংখ্যা——)
“পুরুষোত্তম চেদবাতরিষ্যদ্ভূবনেহস্মিন্ ভবান্ ভূবঃ শিবায়।
বিকটাসুরমণ্ডলান্ন জানে সুজনানাং বত কা দশাভবিষ্যৎ॥’’
অর্থাৎ “হে পুরুষোত্তম! আপনি যদি পৃথিবীর মঙ্গলার্থ এই ভুবনে অবতীর্ণ না হইতেন, তাহা হইলে বিকট অসুরমণ্ডল হইতে সুজনসকলের যে-দশা উপস্থিত হইত, আমি তাহা জানিতেও পারিতেছি না।