“এই নবদ্বীপে, বাপ! যত অধ্যাপক।
কৃষ্ণভক্তি বাখানিতে সবে হয় ‘বক’॥
‘বক’ বা বকব্রতী,—“অধোদৃষ্টিনৈকৃতিকঃ স্বার্থসাধনতৎপরঃ। শঠো মিথ্যাবিনীতশ্চ বকব্রতচরো দ্বিজ॥’’ অতএব ‘বক’ শব্দে এস্থলে বঞ্চনাভিসন্ধি-মূলে মৌনবৃত্তিবিশিষ্ট বুঝিতে হইবে। কৃষ্ণেতর প্রজল্পে বা অভক্তি পর শাস্ত্র ব্যাখ্যায় কোটিমুখ হইলেও কৃভক্তিই যে সর্বত্র সর্বদা সর্বশাস্ত্রের একমাত্র অবিতর্কয তাৎপর্য, তাহা বুঝিয়াও বা জানিয়াও বিপ্রলিপ্সা-দোষ-বশতঃ তাহার ব্যাখ্যাকালে তাহারা মৎস্যভক্ষ্ণ-লোলুপ বকপক্ষীর ন্যায় ভণ্ড, ধূর্ত, শঠ বা কপট মৌনবৃত্তি প্রদর্শন করে।