তোর উচ্চ সংকীর্তনে, নাড়ার হুঙ্কারে।
ছাড়িয়া বৈকুণ্ঠ, আইনু সর্ব পরিবারে॥
নাড়া —শ্ৰীসজ্জনতোষণী ৭ম খণ্ডে ১১শ সংখ্যায় সম্পাদক শ্রীমদ্ ভক্তিবিনোদ ঠাকুর লিখিয়াছেন,—“শ্রীমন্মহাপ্রভু শ্রীল অদ্বৈত প্রভুকে নাড়া-শব্দে উক্তি করিয়াছেন। ঐ নাড়া-শব্দের অনেক- প্রকার অর্থ শুনিয়াছি। কোন বৈষ্ণব-পণ্ডিত বলিয়াছেন যে, নার-শব্দে জীব-সমষ্টি ; তাহাতে অবস্থিত মহাবিষ্ণুকে ‘নারা’ বলা যায়। সেই নারা-শব্দের অপভ্রংশই কি ‘নাড়া’? রাঢ়দেশীয় লোকেরা অনেকস্থলে ‘র’ স্থানে ‘ড়’ বলিয়া থাকেন। তাহাতেই কি নারা-শব্দ ‘নাড়া’ বলিয়া লেখা হইয়াছে? এই অর্থটী অনেকাংশে ভাল বলিয়া বোধ হয়॥’’
‘নার’ ও ‘নারা’ (নাড়া),—ভাঃ ১০ |১৪|১৪ শ্লোকের শ্রীধরস্বামিপাদ-কৃত ‘ভাবার্থদীদিপিকা’-টীকা,—“নারং জীবসমূহোহয়নমাশ্রয়ো যস্য স তথেতি ত্বমেব সর্বদেহিনামাত্মত্বান্নারায়ণ ইতি ভাবঃ। **নারস্যায়নং প্রবৃত্তি র্যস্মাৎস তথেতি। ** অতো নারময়সে জানাসীতি ত্বমেব নারায়ণ ইত্যর্থঃ। নরাদুদ্ভূতা যেহর্থাস্তথা নরাজ্জাতঃ যজ্জলং তদয়নাদ্যোনারায়ণঃ প্রসিদ্ধঃ * * | তথা চ স্মর্যতে,—নরাজ্জাতানি তত্ত্বানি নারাণীতি বিদুর্বুধাঃ | তস্য তান্যয়নং পূর্বং তেন নারায়ণঃ স্মৃতঃ॥’ ইতি, তথা (মনু-সং ১।১০)–“আপো নারা ইতি প্ৰোক্তা আপো বৈ নরসূনবঃ। তা যদস্যায়নং পূর্বং তেন নারায়ণঃ স্মৃতঃ॥ ইতি চু।“