প্রভু-প্রেমাশ্রু-বর্ণনে গ্রন্থকারের অতুল-কবিত্ব-শক্তি
কত বা আনন্দধারা বহে শ্রীনয়নে।
চরণের গঙ্গা কিবা আইলা বদনে!॥
এস্থলে ‘উৎপ্রেক্ষা’-নামক অলঙ্কার গ্রন্থকারের অতুল কবিত্ব শক্তির পরিচায়ক।
প্রভুর বদনমণ্ডলে প্রেমানন্দাশ্রুধারার সহিত তদীয় চরণোদ্ভূতা গঙ্গা-ধারার উপমা প্রদত্ত হইয়াছে; প্রভুর নয়নে সেই প্রেমানন্দাশ্রু ধারা-পাত-দর্শনে স্বতঃই মনে হয়,—যেন সত্য-সত্যই গঙ্গা-জল-স্রোত-ধারা প্রবাহিত হইত্রছে —ইতেছে, ইহাই ‘উৎপ্রেক্ষালঙ্কার’।