ক্ষণে হয় আনন্দে মূর্ছিত প্রহরেক।
বাহ্য হৈলে না বলেন কৃষ্ণ-ব্যতিরেক॥
প্রভুর অন্তর্দশা হইতে বাহ্যদশায় আগমন-মাত্রেই বদনে অনর্গল কৃষ্ণনাম উচ্চারিত হইতেন। কৃষ্ণবিমুখ জীবগণ যেরূপ নিদ্রিত বা তৃষ্ণীম্ভূত-অবস্থায় সর্বদা ভগবৎসেবা-বঞ্চিত থাকে এবং নিদ্রা-ভঙ্গ বা মৌন-ভঙ্গ হইলে নিজ-নিজ ইন্দ্রিয়তপর্ণকর ভোগ্যবিষয়-কথায় ব্যাপৃত থাকেন, প্রভুর তদ্রূপ ব্যবহার ছিল না বা দৃষ্ট হইত না; তিনি অন্তরে-বাহিরে সর্বোত্তম আদর্শ লোকশিক্ষকরূপে কৃষ্ণসেবা-পরা সর্ববিধা চেষ্টাই প্রদর্শন করিয়াছিলেন।