প্রেমভরে পরস্পরের মহিমা-প্রকটনে ভক্ত ও ভগবান,
উভয়েই সম বা তুল্য—
নিজ-ভক্তে বাড়াইতে ঠাকুর সে জানে।
যেন করে’ ভক্ত, তেন করেন আপনে॥
নিজসেবকের মহিমা কি- প্রকারে বর্ধন করিতে হয় ও জয় কিরূপে কীর্তন করিতে হয়, তাহা একমাত্র ভক্তবশ ভগবানই। জানেন; ভক্তসঙ্গবর্জিত অপর ব্যক্তিগণ তাহা জানে না। আবার সেব্য-ভগবানের প্রতি সেবক ভক্তগণ যেরূপ বিশ্রম্ভ-সহকারে নানবিধ সেবা-প্রণয়-চেষ্টা প্রদর্শন করেন, তদ্রূপ ভক্তৈকপ্রান ভগবান্ স্বীয় প্রাণাধিক প্রিয় ভক্তের প্রতি নানাবিধ সেবা-প্রণয় বিধান করিয়া অতুল অসীম ভক্তবাৎসল্য প্রদর্শন করেন ॥ ইহাতে কেহ যেন না বুঝেন যে, ভগবান প্রেম-বশে ভক্তের সেবা করিতে গিয়া নিজ সেব্য-ভাব-রহিত্য জ্ঞাপন করিতেছেন; পরস্তু তিনি ভক্তবাৎসল্য-প্রদর্শন কল্পে ভক্তের ভক্তরূপে স্বয়ং আচরণ করিয়া জগতে ভগবান্ ও ভক্তের পরস্পর অত্যন্ত- ঘনিষ্ট বিশ্রম্ভময় সম্বন্ধ প্রচার করিলেন।