কৃষ্ণপ্রণাম-শ্লোক
তথা হি (বিষ্ণুপুরাণে ১ম অং ১৯শ অঃ ৬৫) —
‘নমো ব্ৰহ্মণ্যদেবায় গোব্রাহ্মণহিতায় চ।
জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ॥
হিরণ্যকশিপুর আদেশে দৈত্যগণদ্বারা সমুদ্রমধ্যে পর্বতাচ্ছাদিত প্রহ্লাদের শ্রীভগবৎস্তুতি —
অন্বয়। ব্রহ্মণ্যদেবায় (ব্রহ্মণ্যানাং বেদবিদাং দেবায় শ্রেষ্ঠায় উপাস্যায় বা) গোব্রাহ্মণহিতায়চ (গোভ্যঃ ব্রাহ্মণেভ্যঃ হিতং নিত্যমঙ্গলং যস্মাৎ তস্মৈ কৃষ্ণায়) নমঃ ; অতএব জগদ্ধিতায় (জগতাং শর্মকৃতে) গোবিন্দায় (গোপনন্দনত্বেন গো-পালনলীলা পরায়ণায়) কৃষ্ণায় (সচ্চিদানন্দবিগ্রহায় পরব্রহ্মণে—“কৃষির্ভূবাচকঃ শব্দোনশ্চ নির্বৃত্তিবাচকঃ। তয়োরৈক্যং পরং ব্রহ্ম কৃষ্ণ ইত্যভিধীয়তে ৷৷” ইতি যোগবৃত্ত্যা,—“কৃষি-শব্দো হি সত্তার্থো ণশ্চানন্দস্বরূপকঃ। সত্তাস্বানন্দয়োর্যোগাচ্চিৎ পরং ব্রহ্ম চোচ্যতে॥“ ইতি বৃহদ্গৌতমীয়োক্তেশ্চ;এবং রূঢ়ির্যোগমপহরতি”ইতিন্যায়েন,নন্দযশোদা-নন্দনায় বা— কৃষ্ণশব্দস্য তমালশ্যামলত্বিষি পরং ব্রহ্ম চোচ্যতে॥’’ ইতি বৃহদ্গৌতমীয়োক্তেশ্চ; এবং “রূঢ়ির্যোগমপহরতি’’ ইতি ন্যায়েন, নন্দযশোদা-নন্দনায় বা,—“কৃষ্ণশব্দস্য তমালশ্যামলত্বিষি যশোদাস্তনন্ধয়ে পর-ব্রহ্মণি রূঢ়িঃ” ইতি নামকৌমুদী’ কৃদুক্তেশ্চ) নমঃ নমঃ (অসকৃদুক্তিস্ত্বত্যৌৎক্যেনেতি জ্ঞাতব্যম্)।১৩৭||
অনুবাদ। (প্রহাদ কহিলেন,—) হে ব্রহ্মণ্যদেব, হে গো-ব্রাহ্মণ-হিতকারিন্, আপনাকে নমস্কর; হে জগন্মঙ্গলকারিন্, হে কৃষ্ণ, হে গোবিন্দ, আপনাকে পুনঃ পুনঃ নমস্কার॥১৩৭॥।
তথ্য। ব্রহ্মণ্যদেবায়,—“ব্রহ্মণ্যানাং দেবায় শ্রেষ্ঠায়” (—শ্রীধরস্বামি-কৃত ‘আত্মপ্রকাশ’-টীকা)।
‘গো’, ‘কৃষ্ণ’ ও ‘গোবিন্দ’- শব্দের বিস্তৃত অর্থ জানিতে হইলে ‘ব্রহ্মসংহিতা’-গ্রন্থের ১ম শ্লোকের শ্রীল জীবগোস্বামী কৃতা টীকা 'আলোচ্যা।