আর কেন দুঃখ ভাব’ পাইলা সকল।
যে লাগি’ সঙ্কল্প কৈলা, সে হৈল সফল॥
আর কেন ...হইলা,(চৈঃ চঃ আদি ৩য় পঃ ৯১, ৯৫-১০৯ সংখ্যা—) “আচার্য-গোসাঞি—প্রভুর ভক্তঅবতার। কৃষ্ণ-অবতার-হেতু যাঁহার হুঙ্কার॥ ** প্রকটিয়া দেখে আচার্য,—সকল সংসার। কৃভক্তিগন্ধহীন বিষয়-ব্যবহার॥ কেহ পাপে, কেহ পুণ্যে, করে বিষয়-ভোগ। ভক্তিগন্ধ নাহি,—যাতে যায় ভবরোগ॥ লোকগতি দেখি’ আচার্য করুণ হৃদয়। বিচার করেন,—লোকের কৈছে হিত হয়। আপনে শ্রীকৃষ্ণঃ যদি করেন অবতার। আপনে আচরি’ ভক্তি করেন প্রচার। নাম বিনু কলিকালে ধর্ম নাহি আর। কলিকালে কৈছে হবে কৃষ্ণ-অবতার॥ শুদ্ধভাবে করিব কৃষ্ণের আরাধন। নিরন্তর সদৈন্যে করিব নিবেদন॥ আনিয়া কৃষ্ণেরে করোঁ কীর্তন সঞ্চার। তবে সে ‘অদ্বৈত’-নাম সফল আমার॥ কৃষ্ণবশ করিবেন কোন্ আরাধনে। বিচারিতে এক শ্লোক আইল তাঁর মনে। (তথা হি গৌতমীয় তন্ত্রে নারদ-বাক্য, ‘‘তুলসীদলমাত্রেণ জলস্য চুলুকেন বা॥ বিক্ৰীণীতে স্বমাত্মানং ভক্তেভ্যো ভক্তবৎসলঃ।” এই শ্লোকার্থ আচার্য করেন বিচারণ। কৃষ্ণকে তুলসীজল দেয় যেই জন॥ তার ঋণ শোধিতে কৃষ্ণও করেন চিন্তন। জল-তুলসীর সম কিছু ঘরে নাহি ধন॥ তবে আত্মা বেচি’ করে ঋণের শোধন।’ এত ভাবি আচার্য করেন আরাধন॥ গঙ্গাজলে তুলসীমঞ্জরী অনুক্ষণ। কৃষ্ণপাদপদ্ম ভাবি’ করে সমর্পণ ॥ কৃষ্ণের আহ্বান করেন। করিয়া হুঙ্কার। এমতে কৃষ্ণের করাইলা অবতার॥ চৈতন্যের-অবতারে এই মুখ্য হেতু। ভক্তের ইচ্ছায় অবতার ধর্মসেতু।