জাতি নাশ করিলেক এই নিত্যানন্দ।
কোথা হৈতে আসি’ হৈল মদ্যপের সঙ্গ॥
সক্ড়ি নিসক্ড়ি বিচার অর্থাৎ ভোজ্যদ্রব্যে স্পৃশ্য-অস্পৃশ্য বিচার মাতাল ও অবৈধ ব্যক্তিগণ করেন না ।নিত্যানন্দ বালচাপল্য ক্রমে ভোজনগৃহের সর্বত্র ভাত ছড়াইয়া দেওয়ায় উহা আচার-বহির্ভূত জানিয়া শ্ৰীঅদ্বৈত প্রভু শ্রীনিত্যানন্দের জাতি-বিচারের অভাব, স্পৃশ্যেঅস্পৃশ্যের বিচারাভাব প্রভৃতি সমালোচনা আরম্ভ করিলেন ।শ্রীনিত্যানন্দ কোন্ গ্রামের অধিবাসী, কাহার পুত্র, কোন্ গুরুর শিষ্য তাহা কেহ জানে না, তিনি নানা স্থানে বিচরণ করায় বিবিধ শ্রেণীর লোকের অন্নাদি গ্রহণ করিয়াছেন ।সুতরাং এরূপ স্বাভাবিক মত্ত প্রকৃতির ব্যক্তি সর্বনাশ করিতেছেন ।শ্রীঅদ্বৈতপ্রভু বঙ্গদেশীয় গৃহস্থ ব্রাহ্মণ লীলার অভিনয় করিয়াছিলেন ।সুতরাং ‘বঙ্গের পশ্চিমাভাগ যবনগনের সহিত মিশ্রভাবাপন্ন হওয়ায় তাহাদিগের সংসর্গে নিত্যানন্দের জাতীয় ধর্ম বিপর্যয় হইয়াছে প্রভৃতি দোষারোপ করিতে লাগিলেন ।প্রকৃত প্রস্তাবে নিত্যানন্দ আসবসেবাকারী তান্ত্রিক সন্ন্যাসী ছিলেন না ।ব্যভিচার রত জনগণ এই সকল প্রসঙ্গ হইতে নিত্যানন্দকে ভ্রমবশতঃ তাহাদিগের ন্যায় বিশৃঙ্খল বলিয়া মনে করে, কিন্তু প্রভু নিত্যানন্দ কোনদিন সেরূপ পাপের প্রশ্রয় দিবার শিক্ষা প্রদান করেন নাই। “পরিতদতু জনো যথা তথা বা ননু খরো ন বয়ং বিচারয়ামঃ ।হরিরসমদিরামদাতিমত্তা ভুবি বিলুঠাম নটাম নির্বিশাম॥’’ শ্লোক এতৎপ্রসঙ্গে আলোচ্য।