Normal view
Book Lang.: বাংলা
English
संस्कृता वाक्
Translation

শ্লোক 210

Language: বাংলা
Language: English Translation
  • মৎসর ব্যক্তির ভক্ত-হিংসা-প্রবৃত্তি অমঙ্গলের জনক ও আত্মবিনাশক—

    অনন্ত ব্রহ্মাণ্ডে যত, সব মোর দাস
    এতেকে যে পর হিংসে সেই যায় নাশ

    প্ৰাপঞ্চিক মানব হরিবিমুখতা ক্রমে কাম-ক্রোধাদি রিপুগণের ভৃত্যবৃত্তিকেই একমাত্র অবলম্বন বলিয়া স্বীকার করেন ।দৃশ্যাদৃশ্য জগৎ সকলেই সেব্য ভগবানের সম্বন্ধে সেবকরূপে অধিষ্ঠিত ।যদি এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির প্রতি মৎসর-ভার প্রদর্শন করে, তাহা হইলে ঐ মৎসর ব্যক্তি ‘বৈষ্ণব’-নামে আত্ম প্রতিষ্ঠানের ব্যাঘাত করিয়া সেবোন্মুখ জনগণের বিদ্বেষকারি-রূপে প্রতিষ্ঠিত হয় ।সেইরূপ বিচারে যে সকল হিংসা দেখা যায়, তাহাতে ন্যূনাধিক ভগবানের হিংসাই হইয়া থাকে । আবার ভক্তের পরোপকার প্রবৃত্তি—সেবা-প্রবৃত্তি অত্যন্ত অধিক প্রবল বলিয়া তাঁহারা চৈতন্য দাস্যে অনভিজ্ঞজীবগণের কৃষ্ণোন্মুখতা, সমৃদ্ধির জন্য যে সকল চেষ্টা করিয়া থাকেন, ঐ চেষ্টাকে মৎসর সম্প্রদায় তাহাদের হিংসাবৃত্তির বিচিত্র বিলাসের অন্যতম জ্ঞান করে, উহাতে তাহাদের অমঙ্গলতা সিদ্ধ হয় ।অদ্বয় জ্ঞানের সহিত সম্বন্ধ রহিত বস্তুর প্রতি মানব ভোগ-বুদ্ধিতে হিংসা করে ।শুদ্ধভক্ত কোনদিনই ত্রিগুণতাড়িত হইয়া রজঃসত্ত্ব-তমোগুণের সলিলে নিমগ্ন হন না ।সুতরাং নির্মৎসর ভক্তদিগের চরণাশ্রয়-ব্যতীত মৎসরধর্ম পরায়ণ নশ্বর জগতের প্রাপঞ্চিক ভোক্তৃ-সম্প্রদায় নিজ-কর্মফলে মায়াবাদাদি আবাহন করিয়া অসুবিধার মধ্যে পতিত হন এবং আত্মবিনাশ করেন । অনাত্ম-প্রবৃত্তিবশে কখনই আত্মার সন্ধান পাওয়া যায় না । ভগবৎপ্রতীতি ব্যতীত কখনই লুব্ধ মানবজাতির জন্য কোন উপায় নাই । সুতরাং গুরুদ্ৰোহী সম্প্রদায় কল্পিত-জ্ঞানে গুরুদ্রোহিতা, দাম্ভিকতা অধন-সমূহকে ধনরূপে গ্রহণপূর্বক অনাত্মতমিস্র মায়ায় বিলীন হইয়া স্বগত-স্বজাতীয়-বিজাতীয় ভেদ-রহিত কেবলাদ্বৈতবাদের মর্যাদা স্থাপন করে ।ইহাই তাহাদের সর্বনাশ । সচ্চিদানন্দ ভগবানের সর্বতোভাবে দাস্যই পরাপ্রকৃতির আত্মস্থ হইবার সুযোগ, নতুবা সর্বনাশই প্রাপ্য হইয়া পড়ে।

Page execution time: 0.035532951355 sec