সর্বেশ্বরেশ্বর কৃষ্ণে সেবা-বিমুখ ব্যক্তির কৃষ্ণদাস দেবগণের পূজা-ফলে তত্তদ্দেবতা কর্তৃক বিনাশ-প্রাপ্তি—
প্রভুরে লঙ্ঘিয়া যে দাসের ভক্তি করে।
পূজা খাই’ সেই দাস তাহারে সংহারে॥
হে বিশ্বম্ভর চৈতন্যদেব! তুমি সকল দেবতার মূল আকর ।তুমি সকল ঈশ্বরের পরমেশ্বর ।তুমি প্রেমময়বিগ্রহ ।অব্যক্ত ও ব্যক্ত জগৎ সকলই তোমার বিভিন্ন অধিকারিক সেবা লইয়া ভৃত্যের কার্য করে ।তোমার কতিপয় ভৃত্য হরিসেবা-বিমুখ জীবগণের ইন্ধন স্বরূপ হইয়া তাহাদিগের ইন্দ্রিয়জ জ্ঞানের গোচরীভূত বস্তুরূপে পরিণত হয় ।সেই সকল লুব্ধ অনভিজ্ঞ জন পরমেশ্বরের প্রতি সেবাচেষ্টা প্রদর্শন না করিয়া হরিসেবা-বৈমুখ্যকেই সর্বতোভাবে সঙ্গত মনে করে ।কিন্তু সেই সকল বহিঃপ্রজ্ঞাচালিত দৃশ্যাদৃশ্য সকল বস্তুই যে তোমার সেবায় নিযুক্ত, তুমি যে সেব্যবস্তু, সেই তোমাকে অনাদর করিতে শিখাইয়া বিপথগামী করে ।তাদৃশ আধিকারিক ভগবৎকিঙ্করগণ নিজ নিজ প্রতারিত স্তাবকগণের নিকট হইতে তাহাদের ইন্দ্রিয়তর্পণ যোগাইয়া তাহাদিগকে অধিকতর কৃষ্ণসেবাবিমুখ করান ।সেই লোভনীয় ইন্দ্রিয়জজ্ঞানলব্ধ বাহ্যপ্রতীতি দর্শকদিগের কর্তৃত্ব সম্বর্ধন করিয়া তাহাদিগকে বিনাশ করে।