ভৃগুরে জিনিয়া আশ পাইয়াছে চোর।
ভৃগু হেন শত শত শিষ্য আছে মোর॥
লোকে কিম্বদন্তী আছে যে, ভগবান্ নারায়ণ ভৃগুকে নির্বোধ প্রতিপাদন করাইবার জন্য এবং স্বীয় বাৎসল্য প্রদর্শনার্থ ভৃগু পদচিহ্ন ধারণ করিয়াছিলেন ।মূঢ় ব্যক্তির প্রতারিত হইবার অধিক যোগ্যতা থাকায় তাহারা ভগবান্ অপেক্ষা ভৃগুর গৌরব অধিক বুঝিয়া থাকে ।কিন্তু শ্রীঅদ্বৈত প্রভু বৈষ্ণবাচার্য ‘মহাবিষ্ণু’ বলিয়া ভৃগুর নির্বুদ্ধিতা ধরিয়া ফেলিয়াছিলেন ।তজ্জন্য তিনি বাহিরে দম্ভ-ক্রোধ প্রদর্শন করিয়া ভৃগুর ন্যায় শত শত শিষ্য তাঁহার আছে, ইহা প্রকাশ করিলেন ।অভিন্ন-ব্রজেন্দ্রনন্দন গৌরসুন্দর আত্মগোপন করিয়া স্বীয় শ্যামসুন্দর-লীলার চৌর্যবৃত্তি অদ্বৈত প্রভুর নিকট লুকাইয়া রাখিতে পারেন নাই ।যাহারা মায়ার দ্বারা তাড়িত হইয়া নিজ স্বরূপ ও ভগবৎ-স্বরূপ বুঝিয়া উঠিতে পারে না, তাহাদের ভগবদ্-বিস্মৃতিজন্য পদে পদে ভোগবুদ্ধির উদয় হয় ।কিন্তু শ্রীঅদ্বৈতপ্রভু বিশেষ বুদ্ধিমান সুচতুর গৌরভক্ত হওয়ায় নির্বোধ জীবগণের ন্যায় বিচারপরায়ণ ছিলেন না ।তিনি শ্রীচৈতন্যদেবের নিকট হইতে শাস্তি লাভ করিবার বাসনায় নিজে পূজ্য হইবার বিচার পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে যত্ন করিতে লাগিলেন ।এইরূপ বিচার করিয়া ভগবানের সেবকাভিমানের লীলা খর্ব করিবার জন্য গৌরাবতারের ভক্তিপ্রচার-বিষয়ে কৃত্রিম বাধা প্রদর্শনের ইচ্ছা করিলেন।