বিশ্বরূপ—ক্ষৌরের দিবস দুই আছে।
লুকাইয়া চলিলা, দেখয়ে কেহ পাছে॥
বিশ্বরূপ ক্ষৌর—একদণ্ডী যতিগণের দুইমাস অন্তর পূর্ণিমা তিথিতে ক্ষৌরকার্য বিহিত হয় ।চাতুর্মাস্যর মধ্যভাগে অর্থাৎ দুইমাস অন্তে যে ক্ষৌর হয়, উহা ‘বিশ্বরূপ ক্ষৌর’ নামে প্রসিদ্ধ ।চাতুর্মাস্য-বিধিতে ক্ষৌরাদি ভোগ নিষেধ ।কিন্তু প্রত্যেক দুইমাস অন্তর ক্ষৌরাদি পালন করিতে গিয়া শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা-দিবসে একদণ্ডী যতিগণের বিশেষ ক্ষৌর-বিধি আছে ।তাহাতে তাঁহাদের চাতুর্মাস্য-ব্রত ভঙ্গ হয় না ।বিশ্বরূপ-ক্ষৌরান্তে শ্রীগুরুপূজা ও গীতার বিশ্বরূপ-অধ্যায় পাঠ প্রভৃতি আনুষ্ঠানিক কৃত্য আছে ।ভাদ্র শুক্লা ত্রয়োদশী-দিবসে মহাপ্রভু গোপনে লোকদৃষ্টির অন্তরালে তথা হইতে চলিয়া গেলেন ।সন্ন্যাসিগণ জানিতেন যে, বিশ্বরূপ-ক্ষোরের দিবস তাঁহারা শ্রীচৈতন্যদেবের দর্শন পাইবেন ।সন্ন্যাসিগণের ধারণা —শ্রীচৈতন্যদেব তাঁহাদের ন্যায় মায়াবাদী সন্ন্যাসী, সুতরাং বিশ্বরূপ-ক্ষৌরদিবসেও তিনি অন্যত্র গোপনে চলিয়া গেলেন জানিয়া তাঁহারা নৈরাশ্য-সাগরে পতিত হইলেন।