প্রভুবাক্যে বৈষ্ণবগণের বিষাদ—
শেষে প্রভু কথাখানি করিলেন দঢ়।
শুনিয়া হইল সবে বিষাদিত বড়॥
শ্রীগৌরসুন্দর আধ্যাক্ষিকগণের বুদ্ধি-পরীক্ষার জন্য লক্ষ্মীর বেশে নৃত্য করিবার প্রস্তাব দ্বারা অধোক্ষজের বিচিত্র বিলাসে আধ্যাক্ষিক-জ্ঞানিগণের অধিকারাভাবের কথা জানাইলেন।যাঁহারা বিবর্তক্রমে আপনাদিগকে ‘পুরুষাভিমান’ করিয়া জগতের নারীগণকে ভোগ্যবুদ্ধি করেন, তাঁহারাই রাবণের অনুকরণে সীতাপতি হইবার দুর্বাসনাবিশিষ্ট।লক্ষ্মীর সেবনধর্ম-বৈষ্ণবতার ঐকান্তিকতা।যাহারা লক্ষ্মীর সেবা করিবার পরিবর্তে ‘শ্রীমান্’ হইবার যত্ন করিয়া আপনাকে ‘ভোক্তা’ বলিয়া অভিমান করে, তাহাদের ভগবৎসেবায় কান্তরসে অধিকার দূরে থাকুক, মর্যাদা-পথে লক্ষ্মীর সেবক হইবার যোগ্যতা ও থাকে না।শ্রীভগবদ্বস্তুই যেখানে শক্তিতত্ত্বের বিলাস প্রদর্শন করেন, সেখানে শ্রীগৌরসুন্দরের দর্শনে শ্রীকৃষ্ণোপলব্ধির ব্যাঘাত উপস্থিত হয়।গৌরভোগি সম্প্রদায় নাগরী বিচারে আত্মপ্রতিষ্ঠা করিয়া গৌরসুন্দরকে ভোগ্য বিষয়-মাত্র জ্ঞান করেন।