যে নারিলা লুকাইতে ক্ষীরসিন্ধু-মাঝে।
সে কেমনে লুকাইব বাহির-সমাজে?”॥
শ্রীগৌরসুন্দর কারণ-গর্ভ-ক্ষীরোদশায়ী পুরুষাবতারত্রয়ের মূলপুরুষ বলদেবেরও আকর, স্বয়ংরূপ বস্তু। সাধারণতঃ ইহ জগতে ব্যষ্টি-বিষ্ণুই প্রতি-ভূতহৃদয়ে স্বতন্ত্রভাবে অবস্থান করেন। এরূপ প্রতীতি হইতে কেহ কেহ শ্রীগৌরসুন্দরকে ক্ষীরাব্ধিশায়ী বিষ্ণুবিশেষ বিচার করিতেন। ভক্তগণ তাঁহাকে ব্যষ্টি -বিষ্ণু জ্ঞান করায় তিনি আত্মগোপন করিতে সমর্থ হন নাই। পুরুষাবতারগণ কর্তৃক সৃষ্ট জগৎ, যাহা ব্যক্ত হইয়াছে, উহাই প্রপঞ্চ। সুতরাং সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডে সেই ব্যষ্টি-বিষ্ণুর কি প্রকারে আত্মগোপন সম্ভব? নন্দনাচার্যের বাক্য হইতে এই কথা প্রকাশ পাইল।