প্রভুর নিজবিদ্যা-প্রতিভাবলে বিদ্যাভিমানি জনগণের দর্পচুর্ণ—
ব্যবহার দেখি প্রভু যেন দম্ভময়।
বিদ্যা-বল দেখি’ পাষণ্ডীও পায় ভয়॥
যাহারা ভগবত্তত্ত্বের সহিত মায়িক-বস্তুর সমজ্ঞান করে——আকরের সহিত তদন্তৰ্গত বা তন্নিঃসৃত বস্তুর সাম্য প্রয়াস করে, তাহাদিগকে লোকে অনভিজ্ঞ বা ‘পাষণ্ডী’ বলে। জড়-বিচারে পারঙ্গত ব্যক্তিগণ নিজ নিজ অহঙ্কার পোষণাভিপ্রায়ে অপরের উপর আধিপত্য করে, তাহাই ‘দম্ভ’-নামে আখ্যাত। লোকিক ব্যবহারের বৈষ্ণবগণের স্বাভাবিক দৈন্যের সুবিধা গ্রহণ করিয়া অহঙ্কারী দাম্ভীকসম্প্রদায় তাহাদিগের উপর নিজ-প্রাধান্য স্থাপন করিবার জন্য আত্মশ্লাঘায় মত্ত হয়। এইরূপ অহঙ্কারপূর্ণ পণ্ডিতম্মন্য গণের উপর স্বীয় পাণ্ডিত্য-প্রতিভা প্রকাশ করিয়া শ্রীগৌরসুন্দর বিষ্ণু-বিদ্বেষী পাষণ্ডগণের ভীতির সঞ্চার করিয়াছিলেন। তাহারা নিজ নিজ পাণ্ডিত্যের অকর্মণ্যতা উপলব্ধি করিয়া মহাপ্রভুর পাণ্ডিত্যবলের নিকট পরাভূত হইয়াছিল। সুতরাং তাঁহাকে দাম্ভিক বিজেতা বলিয়া আধ্যক্ষিক পণ্ডিতগণ আপনাদের দুর্বলতা উপলব্ধি করিয়াছিলেন।