পণ্ডিত সকল প্রভুর বিদ্যা প্রতিভায় পরাজিত হইয়া গোপনে তাঁহার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করিয়া বিভাগীয় শাসনকর্তৃপক্ষকে নানাপ্রকার অভিযোগ জানাইয়াছিল। শীঘ্রই অনুসন্ধানমুখে অভিযোগের প্রতিকার হইবে জানাইয়া পাষণ্ডিগণ মহাপ্রভুর কীর্তন প্রচারে বাধা দিবার চেষ্টা করিয়াছিল। বিরোধিগণ প্রভুকে কপটতা করিয়া বলিত,—“দিবসে তুমি লোকসমক্ষে হরিকীর্তনে যোগ্যতা লাভ কর নাই। নৈশতিমিরের অভ্যন্তরে লোকের অজ্ঞাতসারে তুমি চীৎকার করিয়া কীর্তন কর, তাহাতে লোকের বিরক্তিভাজন হইয়া অভিশপ্ত হও। আমরা তোমাকে বন্ধুভাবে এখনও সাবধান হইতে বলিতেছি। শীঘ্রই তোমার দণ্ডবিধানের জন্য শাসন কর্তৃপক্ষ আসিয়া উপস্থিত হইবেন।’’ মহাপ্রভু তদুত্তরে তাহাদিগকে বলিলেন,—“বহির্মুখ লোকসকল আমার বিরোধী, এ-কথা সত্য। আমিও রাজার দর্শন লাভ করিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করিবার অভিলাষ, পোষণ করি। আমি অল্পবয়সেই সকল শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়াছি, আমার বয়সের অল্পতানিবন্ধন কেহ আমার অনুসন্ধান করে না। যদি রাজা অনুসন্ধান করেন, তাহা হইলে আমি আমার বিদ্যাচর্চার কথা তাঁহাকে জানাইতে পারি।’’