অহংগ্রহোপাসনা—
গর্দভ-শৃগাল-তুল্য শিষ্যগণ লইয়া।
কেহ বলে,—“আমি “রঘুনাথ’ ভাব গিয়া॥
রামানন্দী জমায়েৎ সম্প্রদায়ের অন্তর্নিহিত কেবলাদ্বৈতবাদের ন্যূনাধিক প্রশস্তি আছে।শৈববিশিষ্টাদ্বৈতিগণও সেইপ্রকার আপনাদিগকে ‘শিবোঽহং’ বিচারে প্রতিষ্ঠিত করেন। জমায়েৎগণের মধ্যে আত্মবিচারে রঘুনাথ ভক্তি তাৎকালিক। শ্রীকণ্ঠের শিবভক্তিও তদ্রূপ। তজ্জন্যই অপ্যয়দীক্ষিতাদি কেবল ‘শিবোঽহং’ বিচারে আবদ্ধ না থাকিয়া ক্লীব-ব্রহ্মবাদের কথা বলিয়াছেন। এই সকল দুর্বুদ্ধি তাহাদের কুশিক্ষা-গ্রহণ হইতেই উদ্ভূত হয়।গুরু-বৈষ্ণববিদ্বেষী জনগণ গুরুর কার্য করিতে গিয়া নির্বোধ ও শয়তানগুলিকে শিষ্যপর্যায়ে গ্রহণপূর্বক নিজ প্রভুত্ব বিস্তার করেন। তাহাতে তেরপ্রকার উপসম্প্রদায় গৌরভক্তির ভান করিতে করিতে নিজ সর্বনাশ সাধন করিয়াছে। তাহাদের শিষ্য-সম্প্রদায় মানব-জন্মের সার্থকতা পরিহার করিয়া পশুযোনির বুদ্ধিসমূহ সংগ্রহ করায় তাহাদের গুরুদিগকে রামচন্দ্র সাজাইয়াছে।