গৌরসুন্দরের সর্বপ্রভুত্ব জ্ঞানরহিত ব্যক্তির শুদ্ধভক্তির অভাব—
সর্ব প্রভু—গৌরচন্দ্র, ইথে দ্বিধা যা’র।
তার ভক্তি শুদ্ধ নহে, সেই দুরাচার॥
বেদান্তদর্শনের ভাষ্যকারগণের বিভিন্ন দৃষ্টিতে যে-সকল পরস্পর বিবাদ দৃষ্ট হয়, ঐ-সকল বিবাদের একমাত্র সুষ্ঠু মীমাংসক—শ্রীগৌরসুন্দর। লৌকিক বিবাদ-সমূহেরও মীমাংসার গৌরসুন্দরই প্রভু। যিনি শ্রীচৈতন্যদেবকে ‘সকলের একমাত্র প্রভু’ না জানিয়া শ্রীনিত্যানন্দাদ্বৈতের বিচার করেন, তাঁহাদের কদাচার কখনও শুদ্ধভক্তি -শব্দবাচ্য হয় না।অধুনাতন তের-প্রকার অপসম্প্রদায় অথবা তদধিক অবিবেচক-সম্প্রদায়গণ শ্রীচৈতন্যদেবের দোহাই দিয়া বা তাঁহার বিরুদ্ধাচরণ করিয়া যে-সকল মতবাদ প্রচার করেন, ঐগুলি দুরাচারের অন্তর্গত ও মনোধর্মজীবীর আদরণীয়।শ্রীগৌরসুন্দরে ঐকান্তিকী ভক্তি না থাকিলে জীবের শুদ্ধভক্তির অভাবে দুর্মতি ঘটে।