আগে হয় মুক্তি, তবে সর্ববন্ধ-নাশ।
তবে সে হইতে পারে শ্রীকৃষ্ণের দাস ॥
মানব আধ্যক্ষিক জ্ঞান হইতে মুক্ত না হইলে শব্দব্রহ্মের বিদ্বদ্রূঢ়ি প্রকাশের সান্নিধ্য লাভ করিতে পারে না এবং সেইকালে সেবা করিতে অসমর্থ হয়। বৈকুণ্ঠ-সেবক ভক্ত জড়-কাম ভোগের প্রভুতা হইতে বিরাম লাভ করিলেই মুক্ত হয়। মুক্ত হইবার পরে শান্তভক্তের দাস্য-লাভে ঐকান্তিক অনুরাগ দৃষ্ট হয়। জড় দাস্য হইতে অমুক্ত পুরুষ মুক্তগণের উপাসনার সেবাবৃত্তিকে জড় জগতের হেয়ত্বে আবদ্ধ করেন। তখন তিনি সর্বতোভাবে নশ্বর আশাপাশে আবদ্ধ হন।যিনি প্রাপঞ্চিক বিচারের সকল লোভনীয় পদবী হইতে সর্বতোভাবে মুক্ত, সেই সুনির্মল আত্মার নিত্যা বৃত্তিই—ভগবৎসেবা।এতৎপ্রসঙ্গে কৃষ্ণকৰ্ণামৃতের “ভক্তিস্ত্বয়ি স্থিরতরা” শ্লোক আলোচ্য।