কৃষ্ণ-নিষ্কিঞ্চনের প্রাণ-সদৃশ; ইহাই সর্ববেদবাণী এবং গৌরসুন্দর এই বৈদিক-সত্যের আচার্য ও প্রচারক—
‘অকিঞ্চন-প্রাণ কৃষ্ণ’-সর্ব বেদে গায়।
সাক্ষাতে গৌরাঙ্গ এই তাহারে দেখায়॥
জগতে যাহার কোন বস্তুতে আসক্তি নাই, এরূপ অকিঞ্চনেরই কৃষ্ণ প্রাণ-সদৃশ। এই কথা সকল বেদশাস্ত্র ও বেদানুগ -শাস্ত্র গান করিয়াছেন। গৌরসুন্দর সেই বৈদিক নিগূঢ় সত্যের একমাত্র আচার্য ও প্রচারক। তাঁহার অনুগত দাসগণের দ্বারা আধ্যক্ষিকের অকিঞ্চিৎকরতা ও বেদার্থ-সংগ্রহ-কার্যে সুনিপুণতা প্রকাশ করেন। যাঁহারা শুক্লাম্বর-গৌরসুন্দরের লীলাকথা শ্রবণ করেন, তাঁহাদের চিন্ময় কর্ণবেধ-সংস্কার লাভ ঘটে এবং চৈতন্যদেবের চরণে প্রেমসেবা করিতে গিয়া ভক্তিমঠের ভিক্ষুরূপে ‘গৌড়ীয়’ নামে পরিচিত হন, পরন্তু আপনাকে ‘গৌড়ীয়’ বলিয়া পরিচয় দিয়া চৈতন্যচরণ-সেবা হইতে বহুদূরে অবস্থান পূর্বক গোবিন্দ-সেবা বিমুখ হইয়া আত্মপাতের চেষ্টা করিতে যান না