প্রভু বলে,—“শুন, কহি তোমারে উপায়।
গঙ্গাঘাট তুমি সজ্জ করহ সদায়॥
ইতি শ্রীচৈতন্যভাগবতে মধ্যখণ্ডে মাধবানন্দোপলব্ধি-বর্ণনং নাম পঞ্চদশোঽধ্যায়ঃ ॥
গঙ্গাঘাট সজ্জ,—নদীয়ানগরে লোকসকল সুখে গঙ্গাস্নান করিবেন বলিয়া মাধাইকে গঙ্গা-ঘাট নির্মাণে নিত্যানন্দ প্রভুর আদেশ। অধুনা কতিপয় পাপমতি ভক্তবিদ্বেষী ‘একডালা’র নিকট মহৎপুর গ্রামকে ‘মাধাইর ঘাট” বলিয়া জগতে ভ্রান্তি
উৎপাদন করিতেছে। এই সকল পাপিষ্ঠ বৈষ্ণব-নিন্দা করিয়া নিজেদের অমঙ্গল সাধন করায় মাধাইর ঘাট উহাদের পাপের প্রশ্রয় দিবার জন্য বিলুপ্ত হইয়াছে। বর্তমান শ্রীনাথপুরের নিকটেই মাধাইর ঘাট ছিল। কিন্তু পাপপরায়ণ জনগণ সঞ্চিত পাপের সমৃদ্ধিকল্পে মাতাপুর গ্রামকে মাধাইর ঘাট বলিয়া কল্পনা করেন। ভৌগোলিক প্রমাণানুসারে উহা মোদদ্রুম-দ্বীপের অংশবিশেষ;তাহা কখনই মাধাইর ঘাট হইতে পারে না। কিছুদিন পূর্বে কুলিয়ার একব্যক্তি ব্যবসা করিবার উদ্দেশ্যে মহৎপুরকে মাধাইর ঘাট বলিয়া কল্পনা করায় গঙ্গা তাহাকে নিজ-গর্ভসাৎ করিয়াছে। মাধাইর ঘাটের অবস্থানসম্বন্ধে চিত্রে নবদ্বীপ ৫২ পৃঃ দ্রষ্টব্য।