সাধুলোকে মানা করে —“নিকটে না যাও।
নাগাল পাইলে পাছে পরাণ হারাও॥
পরমার্থে অনভিজ্ঞ জনগণ সাধারণ বিচার অবলম্বন করিয়া ‘অসাধুর নিকট হরিকথা প্রচার করার আবশ্যক নাই’,—এই সরল বিচারে ঠাকুর হরিদাস ও শ্রীনিত্যানন্দপ্রভুকে জগাই-মাধাইর নিকট যাইতে নিষেধ করিল। অসতের নিকট সদুপদেশ দিতে গেলে তাহারা গ্রহণের পরিবর্তে আক্রমণ করিবে। শ্রীগৌরসুন্দরের আজ্ঞাক্রমে, শ্রীনিত্যানন্দ ও ঠাকুর হরিদাসের অনুসরণে শ্রীগৌড়ীয় মঠ যে-সকল অলৌকিক প্রচারের কথা জগতে বলিতেছেন, তাহা স্থানবিশেষে গৃহীত হওয়া দূরে থাকুক, গৌড়ীয় মঠের প্রচারকবর্গকে সময় সময় আক্রমণ করিবার এবং তাহাদের প্রতি আরোপিত ছিদ্রের কথা বলিয়া প্রচারের ব্যাঘাত করিবার দৃষ্টান্ত প্রতিদিনই (বা প্রায়শঃই) লক্ষিত হয়।