প্রাণান্তে মারিল তোমা যে যবনগণে।
তাহারও করিলা তুমি ভাল মনে মনে॥
মানব পাপ হইতে নিবৃত্ত হইয়া পুণ্য-সংগ্রহ-ফলে সর্বোত্তম ব্রাহ্মণ কুলে জন্ম গ্রহণ করেন ব্রাহ্মণপরিচয়ই জগতে সর্বোত্তম পরিচয়। ব্রাহ্মণ সর্বমান্য এবং তাঁহার আদর্শই সকলের অনুসরণীয়। পাপপ্রবৃত্তিবশে জীবগণ ব্রাহ্মণেতর কুলের পরিচয়ে গৌরব বোধ করেন, কিন্তু প্রকৃত ব্রাহ্মণের পরিচয়ে কোন দোষ থাকিতে পারে না। যাহারা পাপ করে, তাহাদিগের দণ্ডদাতা যম উহাদিগকে বিশেষ ক্লেশ দেন। বিশেষতঃ পুণ্যপ্রভাবে ব্রাহ্মণকুলে জন্মগ্রহণ করিয়া, সৎশিক্ষালাভের পরমসুযোগ লাভ-সত্ত্বেও যিনি আত্মহারা হইয়া নানাপ্রকার অপরাধে নিমগ্ন হন, তাঁহার যমগৃহে অশেষ ক্লেশ হইতে কোন প্রকারে পরিত্রাণ হয় না॥
আম্বূয়া-মুলুকের কাজীগণ শ্রীঠাকুর হরিদাসকে প্রাণবিনাশী প্রহার করিয়াছিল। তথাপি ঠাকুর হরিদাস কোন প্রকারে প্রতিশোধ আকাঙ্ক্ষা না করিয়া সহিষ্ণুতা অবলম্বন পূর্বক তাহাদের মঙ্গল চিন্তা করিয়াছিলেন। (আদি ১৬শ অঃ ১০৮-১১৩ পয়ার আলোচ্য)।