সর্বকাল নদীয়ায় পুরুষে পুরুষে।
তিলার্ধেকো দোষ নাহি এ দোঁহার বংশে॥
পুরুষানুক্রমে ইহারা নদীয়ার অধিবাসী, ইহাদের বংশের প্রতি কাহাকেও কোনরূপ সামান্য দোষরোপ করিতে শুনা যায় না। যাঁহারা বলেন, পুত্রপৌত্রাদিগণ মাতৃপিতৃস্বভাব লাভ করেন, তাঁহারা ইহাদের স্বভাব-বিপর্যয় লক্ষ্য করিয়াছেন। জড়বস্তু হইতে চেতন আবির্ভূত হয়, এরূপ ধারণা ঠিক নহে। অচিৎএর সহিত পৃথক্ চেতনের আকস্মিক সমাগমই ধারণ করিতে হইবে। গুণকর্ম- বিভাগক্রমে স্বভাব নির্ণীত হয়। স্থূল শরীরের নিমিত্ত ও উপাদান- কারণ কখনই চেতনের উদ্ভবকারী নহে। প্রাণপরিত্যাগে স্থূল পরিচয় অবস্থিত। “স্থূল হইতে আত্মা দৈবক্রমে উদ্ভূত’’,—এই চিন্তাস্রোতের প্রশংসা করা যায় না। পরন্তু “স্বকর্মফলভুক্” বিচারই প্রবল। স্থূলদেহ—কারণ স্থানীয়, কর্তৃস্থানীয় নহে।