জগাই-মাধাইকে কুকর্মরত দর্শনে হরিদাস-নিতানন্দের
তাহাদের ইতিবৃত্ত সংগ্রহ
দুই জনে কিলাকিলি গালাগালি করে।
নিত্যানন্দ হরিদাস দেখে থাকি’ দূরে॥
শাস্ত্র পাঠ করিয়াও শাস্ত্রের হিতোপদেশ-গ্রহণাভাবে অনেকের বুদ্ধিনাশ হয়, তাহাদিগকে সর্বক্ষণ পরহিংসাপ্রবৃত্তিক্রমে শাস্ত্রের তাৎপর্যে অমনোযোগী থাকাই স্বভাব। যাঁহারা শ্রীগুরুপাদপদ্মের আকর জগদ্গুরু নিত্যানন্দের অনুষ্ঠানে দোষ দেখিয়া নিন্দা করেন, তাঁহাদের সর্বতোভাবে অমঙ্গল ঘটে। এজন্যই “দৃষ্টৈঃ স্বভাবজনিতৈঃ” এবং “অপি চেৎ সুদুরাচারো” প্রভৃতি শ্লোকের অবতারণা। যাঁহারা নিজের সঙ্কীর্ণ বুদ্ধির দ্বারা শ্রীপাদপদ্মে দোষ দর্শন করেন, তাঁহারা শ্রীগুরুদেবের নিকট হইতে কোনও মঙ্গল গ্রহণ করিতে পারেন না। তাঁহাদের বিচারে গুরুদেব অমঙ্গলের মধ্যে পতিত হওয়ায় তাঁহাকে উদ্ধার করাই শিষ্যের কর্তব্য—এইরূপ বিচারে বিশেষ অমঙ্গল ঘটে
দুইজনে—জগাই ও মাধাই উভয়ে।