শাস্ত্রজ্ঞানীরও দুর্বুদ্ধি-বশে নিত্যানন্দ অথবা নিত্যানন্দা-ভিন্ন
জনের নিন্দায় সর্বনাশ-লাভ—
শাস্ত্র পড়িয়াও কারো কারো বুদ্ধিনাশ।
নিত্যানন্দ-নিন্দা করে, হবে সর্বনাশ॥
মদ্যপানরত জনগণ মাদকদ্রব্য-সেবনে বিকৃত- মস্তিষ্ক হইয়া অসৎকার্য করে। তাহাদের সেই কদভ্যাস পরিত্যক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাহারা দুস্কার্যে রত থাকে। ঘটনাক্রমে মদ্যপান-পিপাসা থামিয়া গেলে তাহাদের আর পাপ করিতে হয় না; কিন্তু পরনিন্দাকারী জনগণের অদৃষ্টে কোন দিনই মঙ্গল লাভ ঘটে না। শাস্ত্র বলেন, —“পরস্বভাবকর্মাণি ন প্রশংসেন্ন গর্হয়েৎ বিশ্বমেকাত্মকং পশ্যন্ প্রকৃত্যা পুরুষেণ চ॥’’ (—ভাঃ ১১/২৮/১)। নিজের মঙ্গল ও অমঙ্গলের বিচার করাই কর্তব্য। তাহা না করিয়া যাঁহারা অন্যের নিন্দা প্রভৃতি কার্যে ব্যস্ত থাকিয়া নিজের অসদ্বৃত্তির প্রশ্রয় দেন, তাঁহাদের কোনকালেই সুবিধা হয় না। পরহিংসা-প্রবৃত্তিকে ‘মৎসরতা’ বলে। নির্মৎসর না হইলে প্রাপঞ্চিক অমঙ্গল হইতে অবসর লাভ ঘটে না। যাঁহারা পরচর্চায় ব্যস্ত, তাঁহারা কোনদিনই নিজের মঙ্গল আনয়ন করিতে পারেন না। পরনিন্দারত জনগণ আত্মহিতের জন্য অবসর লাভ না করায় তাঁহারা মঙ্গলের দিকে ধাবিত হইতে পারেন না।