নিন্দায় না বাড়ে ধর্ম—সবে পাপ লাভ।
এতেকে না করে নিন্দা সব মহাভাগ॥
ভগবদ্ভক্তগণ জগতে কাহারও নিন্দা করেন না। নিন্দাকারী ‘পাপী’ বা ‘অধার্মিক’ নামে প্রসিদ্ধ। অবিদ্যমান দোষারোপের নাম—নিন্দা । যাহারা অবান্তর উদ্দেশ্যের বশবর্তী হইয়া পরদ্রোহ-মানসে অপরের প্রশংসা সহ্য করিতে না পারিয়া অবৈধভাবে দোষারোপ করে, তাহাদের দিন-দিনই অমঙ্গল ঘটিয়া থাকে। অনিন্দনীয় বৈষ্ণবের প্রতি যে ব্যক্তি বিদ্বেষ করিয়া দোষের আরোপ করে, তাহাকে কুম্ভীপাকনরকে পতিত হইয়া দারুণ যন্ত্রণা ভোগ করিতে হয়। “সর্ব মহাগুণগণ বৈষ্ণব-শরীরে”—এই কথা বুঝিতে না পারিয়া যে-সকল পাপমতি-জন অবৈষ্ণবের সহিত বৈষ্ণবের সমজ্ঞান করে, তাহাদেরও কোনদিন সুবিধা হয় না। অবৈষ্ণবাচারের নিন্দা ‘সদুপদেশ’ শব্দ-বাচ্য। বিষ্ণুভক্তি ব্যতীত জীবের যাবতীয় অনুষ্ঠান নিন্দার্হ। বিষ্ণুভক্তির ছলনায় পাপিষ্ঠগণ অনেক সময় নিন্দিত কর্ম করে। সেইগুলি পরিহার করিবার উপদেশকে ‘নিন্দা’ বলা যাইবে না।