নিত্যানন্দের অলৌকিক চরিত্র শ্রবণকারীর ফল—
ভক্তি করি’ যে শুনয়ে এ সব আখ্যান।
তার স্বামী হয় গৌরচন্দ্র ভগবান্॥
বায়ু-দ্বারা সূক্ষ্মগন্ধ সঞ্চারিত হয়। শ্রীনিত্যানন্দের গন্ধ-সংস্পর্শও এরূপ কৃষ্ণভক্তির দৃঢ়তা সাধন করে যে, ভজনীয় বস্তু কৃষ্ণ তাহাকে কোনমতেই পরিত্যাগ করিতে পারেন না॥
যাঁহারা শ্রীনিত্যানন্দ-প্রভুর লোকাতীত চরিত্রের কথা শ্রদ্ধা-সহকারে শ্রবণ করেন, তাঁহারা কোনদিনই শ্রীচৈতন্যদাস্য হইতে কোন প্রকারে বৈমুখ্য সংগ্রহ করিতে পারেন না। শ্রীনিত্যানন্দ-প্রভুর সেবোম্মুখ জন্যই সর্বতোভাবে শ্রীগৌরসুন্দরের দাস্য করিতে সমর্থ হন। ‘স্বামী’-শব্দ পাইয়াই গৌরনাগরী সম্প্রদায় যেন মনে না করেন যে, কাঞ্চনলতা প্রভৃতি কাল্পনিক নদীয়ানাগরীগণের ন্যায় তাঁহারাও জগদ্রু শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর অভিন্ন কলেবর গৌরসুন্দরকে ব্যভিচার-রঙ্গে নামাইয়া লইয়া প্রাকৃত বিচারের তাণ্ডব নৃত্য দেখাইতে পারিবেন।