কেহ বলে,—“পাদোদক বড় স্বাদু লাগে।
এখনো মুখের মিষ্টতা নাহি ভাঙ্গে॥”
শ্রীশ্রীগৌরসুন্দরের আজ্ঞানুসারে শ্রীনিত্যানন্দের পদপ্রক্ষালিত জল গ্রহণ করিয়া কেহ বলিলেন,-“নিত্যানন্দের পাদোদক বড়ই সুস্বাদু; পাদোদক-পানে সুস্বাদজনিত মিষ্টতা ভগ্ন হয় না। পাদোদক পান করিলে পানের পরেও মুখে মিষ্টতা নিরন্তর চলিতে থাকে।’’ সাধারণ মূঢ়জন শ্রীনিত্যানন্দ পাদোদককে সাধারণ জলবুদ্ধি করায় পার্থিব আশা-পাশ-রজ্জুদ্বারা আবদ্ধ থাকে। কিন্তু পাদোদকের এমনি স্বভাব যে, পাননিরত ভক্ত আপনার আত্মস্বরূপ-বোধে পাঙ্গরত হইয়া স্বীয় নিত্য ভগবদ্দাস্য বুঝিতে পারেন। আবার কেহ কেহ বলিলেন,—‘সকল অমঙ্গল কাটিয়া গিয়া অদ্যই স্বরূপ উপলব্ধির সুপ্রভাত উদিত হইল।’ যাহাদের শ্রীনিত্যানন্দের শ্রীপাদপদ্মাকে অন্য জীবের অধমাঙ্গ-তুল্যজ্ঞানে রুচির অভাব দেখা যায়, তাহাদের কৃষ্ণভক্তির অভাব আছে, জানিতে হইবে। প্রভু-পাদোদক-পানকারী জনের মত্ততা উপস্থিত হইয়া নিরন্তর মুখে ভগবান্কে ডাকিবার প্রয়াস আসিয়া উপস্থিত হয়। যাহারা জড়রসে প্রমত্ত হইয়া আপনাদিগকে ‘গুরু’-জ্ঞানে নিত্যানন্দ মনে করে, সেই সকল নারকিগণের জড়ানুভূতি অহঙ্কার বিমূঢ়াত্মতা বৃদ্ধি করে।