নিত্যানন্দের নিকট মহাপ্রভুর কৌপীন যাচ্ঞা, তাহা খণ্ড খণ্ড
করিয়া সকল বৈষ্ণবকে বিতরণ এবং মস্তকে ধারণার্থ আদেশ—
প্রভু বলে,—“এক খানি কৌপীন তোমার।
দেহ’—ইহা বড় ইচ্ছা আছয়ে আমার॥”
শ্রীনিত্যানন্দ তীর্থভ্রমণকারী সন্ন্যাসীর সঙ্গে বিচরণকালে ব্রহ্মচারীর কৌপীন গ্রহণ করিয়াছিলেন। মহাপ্রভু সেই ব্রহ্মচারীর চিহ্ন কৌপীনটী ভিক্ষা করিয়া লইবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। কৌপীনবন্তজনগণ সামান্য বসনে লজ্জা নিবারণ করেন। বিষয়মত্তজনগণ ‘সভ্যতা’ নামক কপটতা আশ্রয়পূর্বক নানা বসনভূষণে মণ্ডিত হইয়া সরলতার অভাবপোষণকে ‘ভদ্রতা’ বলেন। অন্তরে ব্যভিচার- পোষণকল্পে যে বসনাচ্ছাদন, তাহা হইতে নিরস্ত হইবার আদর্শে কৌপীন-গ্রহণ আশ্রমধর্মের শ্রেষ্ঠতা জ্ঞাপক।