নিত্যানন্দের অচিন্ত্যশক্তিপ্রভাবে মালিনীর দুগ্ধহীনস্তনে
দুগ্ধক্ষরণ, মালিনীর তাহাতে বিস্ময় এবং
গৌরাদেশে তৎসঙ্গোপন—
কভু নাহি দুগ্ধ, পরশিলে মাত্র হয়।
এ সব অচিন্ত্য-শক্তি মালিনী দেখয় ॥
রত্নাকরে যত প্রকার রত্ন আছে, তন্মধ্যে নবনিধির শ্রেষ্ঠতা পরিগণিত হয়। প্রেমরত্নাকরস্বরূপ শ্রীগৌরসুন্দর কিরূপ আশ্চর্য প্রেমসাগরের অধিবাসী, গ্রন্থকার তাহা জানাইবার জন্য কৌতুহলমুখে অপূর্বতা জ্ঞাপন করিতেছেন। পরম দুর্লভ গৌরনিধি পতিতজনের উদ্ধারকারী বান্ধব এবং আশ্রয়বিহীন জনগণের একমাত্র পালক ॥ধ্রু॥ নিত্যানন্দপ্রভু আপনাকে ব্রজবালক-অনে শ্রীবাস ও মালিনীকে পিতা-মাতা-বুদ্ধিতে দর্শন করিতেন। মালিনীকে মাতৃস্থানীয়া পৌঢ়া গোপী-বিচারে এবং আপনাকে গোপশিশুজ্ঞানে নিত্যানন্দ মালিনীর স্তন্যপানের লীলাভিনয় করিতেন। মালিনীর স্তনে দুগ্ধ না থাকিলেও নিত্যানন্দের তাদৃশী লীলায় দুগ্ধ-সমাগম দেখিয়া মালিনী বিস্মিত হইতেন।