যমের ঘর হইতে যে আনিতে পারে।
কাকস্থানে বাটী আনে,—কি মহত্ত্ব তারে? ॥
“যে জন আনিল মৃত গুরুর নন্দন’’—ভগবান্ বলদেব ও শ্রীকৃষ্ণ মথুরালীলাকালে ব্রহ্মচর্য অবলম্বনপূর্বক অবন্তীপুরবাসী সান্দীপনি মুনির নিকট বিদ্যাশিক্ষার্থ গমন করেন। তাঁহারা লোকশিক্ষার্থ বিবিধ প্রকারে গুরুসেবা করিয়া চতুঃষষ্টি দিবসে চতুঃষষ্টি কলা-বিদ্যা শিক্ষা করিলেন। বিদ্যাসমাপ্তির পর গুরুকে দক্ষিণাপ্রদানের ইচ্ছা প্রকাশ করিলে সান্দীপনি তাহাদের অতিমানুষী চেষ্টা দর্শন করিয়া প্রভাসতীর্থে মহাসমুদ্রে মৃত নিজ তনয়কে প্রার্থনা করিলেন। রামকৃষ্ণ রথারোহণে প্রভাসতীর্থে গমন করিয়া সমুদ্রের নিকট গুরুপুত্রকে প্রার্থনা করিলে সমুদ্র পঞ্চজন অসুর-কর্তৃক গুরুপুত্রের বিনাশের কথা বিজ্ঞাপিত করিল। তাহা শুনিয়া তাঁহারা জলমধ্যে পঞ্চজন-পুরীতে গমনপূর্বক ঐ অসুরকে বিনাশ করিলেন। কিন্তু তদুদর-মধ্যে গুরুপুত্রকে প্রাপ্ত না হওয়ায় যমলোকে গমন করিলেন। যমরাজ শ্রীকৃষ্ণ-বলরামের পূজা করিয়া তাঁহাদের আদেশ-মত মৃত গুরু পুত্রকে সজীব করিয়া প্রত্যর্পণ করিলেন। ( ভাঃ ১০ |৪৫ অঃ)।