হাসি’ বলে গৌরচন্দ্র—“কি দোষ তোমার?
সব ঘরে অন্নবৃষ্টি কর অবতার ॥
শ্রীমহাপ্রভু শ্রীনিত্যানন্দের অলৌকিকী চেষ্টা জানিতে পারিয়া তাঁহাকে সেইরূপ চঞ্চলতা করিতে নিষেধ করায় নিত্যানন্দ তাহাতে আপত্তি করেন। আপত্তি শুনিয়া মহাপ্রভু হাস্যমুখে নিত্যানন্দের দোষগুলি বলিয়া দেন। দোষবর্ণনমুখে গৌরচন্দ্র বলিলেন, —তুমি সকল স্থানে অন্নবর্ষণ-লীলার অবতরণ করাও । ‘ভোজ্য’ বস্তুকে ‘অন্ন’ কহে। শিশুদিগের যেকালে চর্বণশক্তি থাকে না, সেইকালে তাহাদিগকে অন্য তরল পদার্থ দুগ্ধ প্রভৃতিই ভোজ্য বা পানীয়স্বরূপ হয়। তরল পদার্থের বর্ণ বা প্রস্রবণকে ভোজ্যরূপে গ্রহণ করিলে শিশুর আহার্য দুগ্ধকেই লক্ষ্য করা হয়। যেকালে শিশু বয়ঃপ্রাপ্ত হয়, তখন আর মাতৃস্তনে দুগ্ধ থাকে না। কিন্তু নিত্যানন্দের অচিন্ত্যশক্তি-প্রভাবে দুষ্প্রাপ্য স্থানেও দুগ্ধের অসম্ভাব ছিল না।