সেই সে ভজন মোর হউ জন্ম জন্ম।
সেই অবশেষ মোর—ক্রিয়া-কুলধর্ম ॥
আমি মুক্তি চাহি না, জন্মে জন্মে আমি যেন বৈষবের সেবক হইতে পারি, বৈষ্ণবের উচ্ছিষ্ট-ভাজন যেন আমার যাবতীয় করণীয় বিষয়ের মধ্যে মুখ্যতা লাভ করে। বৈষ্ণবকুলে অবস্থিত হইয়া বৈষ্ণবোচিত-ধর্ম, বৈষ্ণবের অবশেষ গ্রহণ যেন আমার জন্মে জন্মে কৃত্য হয়। বৈদিক অনুষ্ঠানসমূহ যাঁহাদের কুলধর্ম বলিয়া বিশ্বাস এবং আনুষ্ঠানিক বৈদিক ক্রিয়াকে যাঁহারা বহুমানন করেন, তাঁহাদের তাদৃশী আশা যেন আমাকে কোন দিন বিচলিত না করে। উহা জাগতিক অলঙ্কারে অবস্থিত এবং গৌণী ক্রিয়া। মুখ্যানুষ্ঠান—বৈষ্ণবের উচ্ছিষ্ট-ভোজন।’’ অহঙ্কার-বিমূঢ় জীব যেরূপ দুরাশায় হতজ্ঞান হইয়া জড়জগতে উচ্চাকাঙ্ক্ষার বশবর্তী হন, ঠাকুর হরিদাসের চৈতন্য-কৃপাক্রমে তাদৃশ কোন ঔপাধিক যাচ্ঞার উদয় হয় নাই। তিনি শ্রীচৈতন্যদেবের শিক্ষার অনুমোদিত প্রচুর দৈন্যে বিভূষিত ছিলেন এবং মঙ্গলের আকর তৃণাদপি হইয়া উদ্দামবৃত্তি পরিহার-পূর্বক তরুসদৃশ সহিষ্ণুতা অবলম্বন করিয়াছিলেন। সকলকে মান দিয়া স্বয়ং অমানী হইয়া বৈষ্ণবের অনুসরণে তিনি সর্বদা কৃষ্ণনাম কীর্তন করিতেন।