সেই সঙরণে সব খণ্ডিল আপদ্।
তেঞি চিত্র নহে ভক্তস্মরণ-সম্পদ ॥
যেহেতু অজামিল তোমার মায়িক জগতের বিচার পরিত্যাগ করিয়া তোমার বাস্তব-রূপ তাঁহার স্মৃতিপথে উদয় করাইয়া শব্দের অজ্ঞরূঢ়ি-বৃত্তি নিরাশ করিয়াছিলেন, তাহাতেই তাঁহার ভগবৎসেবা-প্রবৃত্তি উন্মেষিত হয় । অজামিল এরূপ সকল ধর্ম রহিত ছিলেন যে, তাঁহার তুলনা হয় না। যমদূত কর্তৃক ধৃত হইবার আশঙ্কায় পুত্র দর্শনে যখন তিনি ‘নারায়ণ’ নাম উচ্চারণ করিয়াছিলেন, সেইকালে পুত্রের অসামর্থ্য ও দূতগণের বলবত্তা দেখিয়া ভগবানের কথা ও তাঁহার বিক্রমসমূহ অজামিলের স্মরণ-পথে উদিত হইয়াছিল। যদিও পুত্ৰনাম-উচ্চারণ উদ্দেশ্যে মুখে তিনি ‘নারায়ণ’ শব্দের উক্তি করিয়াছিলেন, তথাপি ‘নারায়ণ’ শব্দে ভগবানের উদ্দেশ হওয়ায় ভগবৎস্মৃতিক্রমে তিনি যমদূতগণের আক্রমণ বিপদ হইতে উদ্ধার পাইয়াছিলেন। ভজন বৃত্তিসম্পন্ন ভক্ত ভগবৎস্মরণের সম্পত্তিতে অধিকারী। সুতরাং ইহাতে কোন বিস্ময়ের কারণ নাই।