বাহ্য পাই’ হরিদাস প্রভুর বচনে।
কোথা রূপ-দরশন করয়ে ক্রন্দন ॥
গীঃ ৯।২৯, ভাঃ ৯/৪/৬৩-৬৬, ৬৮ এবং ভাঃ ১০/৮৬/৫৯ শ্লোক আলোচ্য॥
মহাপ্রভুর মুখে ভক্তের প্রশংসা শ্রবণ করিয়া হরিদাস আনন্দ-বিহ্বলতাক্রমে মূর্চ্ছিত হইয়া পড়ায় মহাপ্রভু তাঁহাকে চৈতন্য লাভ করাইয়া নিজ প্রকাশ-লীলা দর্শন করিতে বলিলেন। প্রভুর কথায় হরিদাস অন্তর্দশা সঙ্গোপন-পূর্বক বাহ্য-দশায় উপনীত হইয়া ক্রন্দন করিতে করিতে কোন স্থানে রূপ দর্শন করিতে হইবে, বিচার করিতে লাগিলেন। অপ্রাকৃত অনুভূতিতে যে প্রতীতি, তাহা বহিঃপ্রজ্ঞায় নিরস্ত হয়। বহির্জগতে ভোক্তৃ ভোগ্য-ভাবে দর্শন, অন্তর্জগতে সেবকের সেব্য-দর্শন। লব্ধস্বরূপ মুক্তজীব ভগবদ্দর্শনে সমর্থ হন এবং ভগবান্ তাঁহাকে স্বীয় সেব্যরূপ প্রদর্শন করেন।