প্রাণান্ত করিয়া তোমা মারে যে-সকল॥
তুমি মনে চিন্ত” তাহা সবার কুশল ॥
ইহ জগতে সর্বাপেক্ষা অধিক ক্লেশ-প্রভাবে মানবের মৃত্য হয় ।ঘাতক- সম্প্রদায় পাপ–প্রবৃত্তির চরম সীমায় ভাগবদ্ভক্তকে ক্লেশ প্রদান করিয়া তাহাদের ইন্দ্রিয়-চরিতার্থ করে। কিন্তু ঠাকুর হরিদাস সেরূপ ইন্দ্রিয়সুখতৎপর না হওয়ায় এবং সর্বদা ভগবানের সুখবিধানে যত্ন করায় নিজ দুঃখ গণনা করেন নাই। অধিকন্তু যাহারা তাঁহাকে কষ্ট দিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিল, তাহাদিগের দুষ্প্রবৃত্তি-দূরীকরণমানসে মঙ্গল প্রার্থনা করিয়াছিলেন। ভগবদ্ভক্তের সহনশীলতা এত অধিক যে, কেহ তাঁহার অমঙ্গল কামনা করিলেও, তিনি তাহার প্রতিশোধ লওয়া দুরে থাকুক, পাপীর যাহাতে মঙ্গল হয়, সেইরূপই আকাঙ্ক্ষা করিয়া থাকেন। অত্যন্ত প্রিয়কার্যকারী জনগণ মানবের নিকট যেরূপ কৃপা ও সাহায্য পাইয়া থাকে, বিদ্রোহিগণের প্রতি ঠাকুর হরিদাসের তাদৃশ করুণা ছিল।