সকলকে মানদানই-ভাগবতধর্ম—
‘নিন্দায় নাহিক লভ্য’—সর্ব শাস্ত্রে কয়।
সবার সম্মান ভাগবত-ধর্ম হয় ॥
শ্রীচৈতন্যদেব অহঙ্কারবিমুঢ়াত্ম-জীবগণের আধ্যাক্ষিক জ্ঞানের দুষ্প্রাপ্য বস্তু। কাহারও নিন্দা না করিয়া যিনি সর্বক্ষণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ’—এই বাক্য উচ্চারণ করেন, তিনি অজিত চৈতন্যদেবকে অনায়াসে স্বীয় প্রেমবাধ্য করিতে পারেন। “জ্ঞানে প্রয়াসমুদপাস্য নমন্ত এব জীবন্তি সম্মুখরিতাং ভবদীয়বার্তাম। স্থানে স্থিতাঃ শ্রুতিগতং তনু বাঙ্মনোভির্যে প্রায়শোঽজিত জিতোঽপাসি তৈস্ত্রিলোক্যাম্ ॥’’ অর্থাৎ ইন্দ্রিয়জ জ্ঞানাবলম্বনে ইন্দ্রিয়াতীত বস্তলাভের চেষ্টার নাম আরোহবাদ বা অশ্রৌতপন্থা, জ্ঞানলাভের জন্য কিছুমাত্র চেষ্টা না করিয়াও যাঁহারা নিজ নিজ বর্ণ ও আশ্রমধর্মে অবস্থান-পূর্বক সাধুমুখে উচ্চারিত আপনার কথা শ্রবণ ও কায়মনোবাক্যে উহার সৎকারঅনুমোদনাদি করিয়া জীবন ধারণ করেন, তাঁহারা অন্য কোন কর্ম না করিলেও তাঁহাদের দ্বারাই আপনি অখিললোকে অজিত হইয়াও জিত, অর্থাৎ বশীভূত হইয়া থাকেন ( —ভাঃ ১০/১৪/৩)।