নিরপরাধে কৃষ্ণনামকারীর চৈতন্যচরণ-প্রাপ্তি
সুলভ—
কাহারে না করে নিন্দা, ‘কৃষ্ণ কৃষ্ণ’ বলে।
অজয় চৈতন্য সেই জিনিবেক হেলে ॥
মহাযোগী আদিদেব মহাদেব বৈষ্ণব হইলেও বলরামের মহিমাত্মক চরম কথাগুলি সর্বতোভাবে জানেন না। কেহ কেহ এই কবিতার অর্থ এরূপ করেন যে, সকলে বৈষ্ণবাগ্রগণ্য মহাদেবের মহিমার শেষ জানে না। অথবা, নিত্যানন্দ প্রভুই বৈভব-তত্ত্বের মূল আকর। সুতরাং তিনিই আদিদেব। তিনি দশবিধভাবে কৃষ্ণসেবা ব্যতীত অন্য কোনও বস্তুতেই রত নহেন বলিয়া মহাসংযত। তিনিই কারণ-বিষু, সমষ্টি ও ব্যষ্টি-বিষ্ণুর আকর বলিয়া পরমেশ্বর। তিনি কৃষ্ণভক্ত বলিয়া বৈষ্ণব। সকল লোক সেই নিত্যানন্দমহিমার চরম সীমা বুঝিতে সমর্থ হয় না।