কোটি গঙ্গাস্নানে তা’র নাহিক নিস্তার।
গঙ্গা-হরি-নামে তারে করিব সংহার ॥
যে-সকল দাম্ভিক ভক্তবিদ্বেষী আপনাকে ‘গঙ্গা স্নানরত’ এবং ‘হরিনামপরায়ণ’ মনে করিয়া ভক্ত-নিন্দা করেন, সেই-সকল ব্যক্তির কুবুদ্ধি অপসারিত করিবার জন্য শ্রীগৌরসুন্দর বলিতেছেন,—“যে ভক্তের সর্বক্ষণ ভগবৎ-সেবা প্রয়াস, তাদৃশ মুরারির ন্যায় ভক্তের যদি কোন ব্যক্তি একবারও মুখ্য বা গৌণভাবে নিন্দা করিয়া বসে এবং গঙ্গোদক ও হরিনামের আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছে বলিয়া ভক্ত-বিদ্বেষ করে, তাহা হইলে গঙ্গোদক ও হরিনাম তাহার কোন প্রকার কল্যাণ-বিধান করার পরিবর্তে সেই পাপিষ্ঠকে সংহার করেন। অধুনাতন শ্রীধাম মায়াপুরে মুসলমান-নিবাস ও হিন্দুনিবাসের মধ্যবর্তী স্থানে মুরারি গুপ্তের স্থান বর্তমান আছে। যে-সকল দাম্ভিক শ্রীধামের বিদ্বেষ করিতে গিয়া আপাতপ্রতীতিতে মুরারি গুপ্তের নিন্দাবাদ করেন ও তাঁহার স্থানের বর্তমান পরিণতির প্রতি ঈর্ষা প্রকাশ করেন, তাঁহারা বিষ্ণু-চুরাণোদকের নিকট হইতে কোন কল্যাণ লাভ করিতে পারেন না । তাঁহাদের অসদ্গুরুর নিকট হইতে প্রাপ্ত হরিনামাক্ষর (নামাপরাধ) তাঁহাদিগকে সংহার করিয়া জন্ম জন্ম বিষয়ের ভোগী করিয়া তুলেন। বৈষ্ণব-বিদ্বেষ এতাদৃশ ভীষণ বিষময় ফল উৎপাদন করে। উহারা নাম-বলে পাপাচরণ করিতে করিতে নামাপরাধী হইয়া মৃত্যুমুখে পতিত হয়। কোটীবার গঙ্গোদকে অবগাহন করিয়াও তাহারা নিষ্কৃতিলাভ করেনা। ইহাই শ্রীগৌরসুন্দরের বিমুখ জীবগণের প্রতি উপদেশ ও শাসন বাক্য। “পুজিতোভগবান্ বিষ্ণু জন্মান্তরশতৈরপি। প্রসীদতি ন বিশ্বাত্মা বৈষ্ণবে চাপমানিতে॥ (—দ্বারকামাহাত্ম্যে)। আদি ১৬/১৬৯ গৌড়ীয় ভাষ্য দ্রষ্টব্য।