ভগবল্লীলা-নিত্যা,তাঁহার আবির্ভাব-তিরোভাব-দর্শনে তাহাকে
‘কাল-ক্ষোভ্য’-বিচার অকর্তব্য,কেব্ল ভগবৎকৃপালব্ধ
ব্যক্তির স্ব-স্ব ভাগ্যানুযায়ী সর্বদা তদুপলব্ধি—
এ সব লীলার কভু নাহি পরিচ্ছেদ।
‘আবির্ভাব’, ‘তিরোভাব’—এই কহে বেদ
যাঁহারা ভাগ্যহীন এবং নিজ নিজ ভাগ্যহীনতাবেই অগাধ জলাশয় ভান করেন, প্রকৃত প্রস্তাবে ঐ সকল প্রতীয়মান জলাশয়ে জলাভাব আছে, জানিতে হইবে। যেহেতু, শ্রীচৈতন্যদেবের প্রকট-লীলা-দর্শনে যিনি বঞ্চিত, তিনি জলহীন মীনের ন্যায় আশ্রয়রহিত। “প্রসারিত মহাপ্রেমপীযূষ-রসসাগরে। চৈতন্যচন্দ্রে প্রকটে যো দীনো দীন এব সঃ ॥ অবতীর্ণে গৌরচন্দ্রে বিস্তীর্ণে প্রেমসাগরে। সুপ্রকাশিতরত্নৌঘে যো দীনো দীন এব সঃ অবতীর্ণে গৌরচন্দ্র বিস্তীর্ণে প্রেমসাগরে। যে ন মজ্জন্তি মজ্জন্তি তে মহানর্থসাগরে॥’’(—চৈতন্যচন্দমৃত ৫/৩৪-৩৬)।