বড় কীর্তি হৈল চৈতন্য নাহি পাই।
‘ভক্তিবশ সবে প্রভু’—চারিবেদে গাই ॥
প্রায়শ্চিত্তাদি-নিরত জনগণ মস্তক মুণ্ডন করিয়া অথবা ব্রহ্মচারী ও যতিগণ কেশাদি বপন করিয়া যে সৌভাগ্য লাভ করিতে অসমর্থ হইয়াছিলেন মুরারি গুপ্তের ভৃত্যগণ ঐরূপ দৈন্য ও কার্পণ্য স্বীকার না করিয়াও সেই ভগবদনুগ্রহ লাভ করিয়াছি্লেন। অনেকে মনে করেন,—সর্বাপেক্ষা অধিক ধনীই সর্বাপেক্ষা বড় বৈষ্ণব। কেহ মনে করেন, আভিজাত্য-সম্পন্ন কুলের অগ্রণী হইতে পারিলেই শ্রীচৈতন্যের অনুগ্রহ লাভ করা যায়; কেহ বা মনে করেন,—শাস্ত্রে বিপুল অধিকার লাভ করিলেই শ্রীচৈতন্যদেবকে বাধ্য করা যায়। কিন্তু এই সকল প্রাপঞ্চিক গরিমার দ্বারা শ্রীচৈতন্যদেব কখনই বাধ্য হন না। ঐগুলি না থাকিলেও ঐকান্তিকী ভক্তির প্রভাবে শ্রীচৈতন্যদেব ভক্তপ্রেমের বাধ্য হন।