বিশ্বরূপ তোমার দেখিল দুর্যোধন।
যাহা দেখিবারে বেদে করে অন্বেষণ ॥
দুর্যোধনের বিরাট্রূপ দর্শন—কুরুক্ষেত্র-যুদ্ধারম্ভের পূর্বে মহারাজ যুধিষ্ঠির অনর্থক যুদ্ধবিগ্রহাদিতে ইচ্ছুক না হইয়া কৌরবপতি দুর্যোধনের নিকট দূতরূপে শ্রীকৃষ্ণকে প্রেরণ করেন এবং অর্ধরাজ্য প্রদানপূর্বক দুর্যোধনকে সন্ধি সংস্থাপন করিতে বলেন। দুর্যোধন তাহাতে সম্মত না হইয়া শ্রীকৃষ্ণকে বন্ধন করিবার ষড়যন্ত্র করে। ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণ তাহাতে ক্রুদ্ধ হইয়া দুর্যোধনকে বলিলেন,—“দুর্যোধন, তুমি আমাকে ‘একাকী’ মনে করিয়া বন্ধনার্থ যে অভিলাষ করিয়াছ, তোমার তাদৃশ ধারণা মূঢ়তাজনক।এই দেখ ,তোমার নিকট পান্দব,অন্ধক, বৃঞিগন, আদি, রুদ্র, বসু, ঋষ্যাদি সকলেই বর্তমান ।’’এই বলিয়া উচ্চ হাস্য করিলে শ্রীকৃষ্ণের অঙ্গ হইতে বিদ্যুতের ন্যায় রূপবান্ অগ্নিসদৃশ তেজস্বী অঙ্গুষ্ঠ-পরিমিত দেবগণ পাণ্ডবগণ অন্ধক ও বৃঞিগণ আবির্ভূত হইতে লাগিলেন ।এইরূপে শ্রীকৃষ্ণ স্বীয় অঙ্গে বিশ্বরূপ প্রকাশ দ্বারা সুর্যোধনকে সন্ত্রস্ত ,ভীত ও কম্পিত করিয়া সভা ত্যাগ করেন ।(—মহাঃ ভাঃ উদ্যেগ পর্ব ১২৯-১৩০অঃ)।