ক্ষণে দন্তে তৃণ লয়, ক্ষণে জাঠি মারে।
ও খড়জাঠিয়া বেটা না দেখিবে মোরে॥”
মুকুন্দ কোন সময়ে দন্তে তৃণ ধারণ করিয়া স্বীয় দৈন্য প্রকাশ করে এবং কোন সময় আমাকে আক্রমণ করে। তাহার বিচারে তাহার এক হস্ত আমার পাদদেশে, অপর হস্ত আমার গলদেশে অবস্থিত। যখন সুবিধা পায়, সে আমার অনুগত হয়; আবার সময়ান্তরে আমার নিন্দা করে। মুকুন্দ-সমন্বয়বাদী। যখন যেরূপ সুবিধা বুঝে, সেইরূপভাবে আপনার পরিচয় দিয়া নিজ অমঙ্গল বরণ করে। সুতরাং উহাকে কোন বর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি না। সে কোন সময় অদ্বৈতের সহিত যোবাশিষ্ঠ নামক গ্রন্থের আদর করিয়া মায়াবাদের সমর্থন করে; আবার কোন সময় মায়াবাদ পরিত্যাগ করিয়া কৃষ্ণানুশীলন করিবার প্রয়াসে নিজ দৈন্য জ্ঞাপন করে। আমি যখন “তৃণাদপি সুনীচ, তরুর ন্যায় সহিষ্ণু” হইয়া, অপরকে মান দান পূর্বক নিজে সম্মানপ্রার্থী না হইয়া সর্বদা হরিভজন করিতে উপদেশ প্রদান করি, তখন ‘অদ্বৈতের দাস’ পরিচয়ে মুকুন্দ ‘ব্রহ্ম’ হইবার বাসনায় সহিষ্ণুতা-ধর্ম পরিত্যাগ করিয়া বেদান্তের অপব্যাখ্যাপর যোগবাশিষ্ঠ সমর্থন করে, আবার বৈষ্ণবগণের নিকট বসিবার আশায়। শ্রীমদ্ভাগবতের দৈন্যে ভূষিত হইবার চেষ্টা দেখাইয়া আপনাকে ‘ভক্ত’ বলিয়া পরিচয় দেয়।