বেদে যেন নানামত করয়ে কথন।
এইমত আচার্যের দুজ্ঞেয় বচন ॥
আচার্যের বংশধরগণ তাঁহার ব্যাখ্যার তাৎপর্য বুঝিতে না পারিয়া ভক্তির প্রতিকূল বিচারকেই ভক্তের গ্রহণীয় বলিয়া জগতে প্রচার করায় আসামদেশে এবং বঙ্গের নানাস্থানে পঞ্চোপাসনা আদর লাভ করিয়াছে। ঠাকুর বৃন্দাবনদাস বলেন, যেরূপ বেদের বিভিন্ন মন্ত্র আপাত দৃষ্টিতে পরস্পর বিবদমান এবং তাহাতে কৈবলাদ্বৈত বিচার শুদ্ধাদ্বৈত বিচার ও দ্বৈতাদ্বৈতবিচার প্রভৃতি নানা মতবাদের উৎপত্তি ঘটিছে, তদ্রূপ আচার্য অদ্বৈতের বাক্য এবং ব্যবহারাবলীও লোকে বুঝিতে না পারিয়া নানা প্রকার মত অদ্বৈতের মত বলিয়া পোষণ করেন; কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে শ্রীঅদ্বৈত-প্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের শিক্ষামাত্রকেই সম্বল করিয়া আচার্যত্ব শিক্ষা দিয়াছেন। পরস্পর বিবদমান প্রতীত হইলেও তাঁহার ব্যাখ্যা-সমূহ শ্রীচৈতন্যানুমোদিত ও এক-তাৎপর্যপর। শ্রীচৈতন্যের প্রকাশিত ব্যাখ্যা অচিন্ত্য-অভেদ পর হইলেও উহাই যুগপৎ ভেদপর, তজ্জন্য প্রাপঞ্চিক চিন্ত্য ব্যাপারবিশেষ নহে।