অদ্বৈতাচার্যের দুজ্ঞেয় বচন মহাভাগবতগণেরই বোধগম্য,
তাহা স্থলবিশেষে সৌভাগ্যোদয়কারী এবং
ভাগ্যবিপর্যয়কারী; তদ্বিষয়ে।
ভাগবত-প্রমাণ—
মহাভাগবতে বুঝে অদ্বৈতের ব্যাখ্যা।
আপনে চৈতন্য যা’রে করাইল শিক্ষা ॥
শ্রীঅদ্বৈতপ্রভুর ব্যাখ্যা অচিন্ত্য-অভেদমূলক হইলেও উহাই অচিন্ত্যভেদাভেদাত্মক, একথা উত্তম বৈষ্ণবই বুঝিতে পারেন। অর্বাচীনগণ বিচার করেন যে, শ্রীঅদ্বৈত-প্রভু কেবলাদ্বৈত-মতের প্রচারক ও শ্রীগৌরসুন্দর চিন্ত্যদ্বৈতবিরোধী দ্বৈতমতের উপদেশক। অদ্বৈতের ব্যাখ্যার তাৎপর্য বুঝিতে না পারিয়া তাঁহার বংশ্যব্রুবগণের মধ্যে ন্যূনাধিক মায়াবাদ প্রচারিত হওয়ায় সেই ভক্তি বিরোধী বীজ অধুনাতন কালেও শুদ্ধা-ভক্তির বিরোধী ভাব পোষণ করিতেছে। তাঁহারা জানেন না যে, শ্রীচৈতন্যদেবের শিক্ষানুমোদিত ব্যাখ্যা ব্যতীত শ্রীঅদ্বৈত-প্রভুর অন্য কোন প্রকার আচরণ নাই।