শ্রীমহাপ্রভুর বাক্যশ্রবণে হরিদাস, মুরারি ও
শ্রীধরের আনন্দাশ্রু—
হরিদাস কান্দে, কান্দে মুরারি শ্রীধর।
হাসিয়া তাম্বুল খায় প্রভু বিশ্বম্ভর ॥
হিরণ্যকশিপু-দৈত্যের পুত্র প্রহ্লাদ, তাঁহার দেবতা বলিয়া প্রতিষ্ঠা নাই। হনুমান পশুকুলে অবতীর্ণ হইয়াছেন। তাঁহাকে সভ্য মানব বলা হয় না। প্রহ্লাদ ও হনুমানের বিচারে তাঁহাদিগকে ‘শ্রেষ্ঠ বৈষ্ণব’ জ্ঞান করা যেরূপ পরম প্রয়োজনীয় বিষয়, অহিন্দু নিম্নকুলে জাত ঠাকুর হরিদাসেরও সেইরূপ মহাভাগবতত্ব সর্বতোভাবে সিদ্ধ॥১১২॥ হরিদাস, মুরারি ও শ্রীধর এই সকল কথা শুনিয়া আনন্দাশ্রু বিসর্জন করিতে লাগিলেন।